নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার পাহাড় সকলের কাছেই খুবই পরিচিত। বছরের বিভিন্ন সময় এখানে বহু পর্যটকদের সমাগম হয়। সেই মতো নতুন বছরের শুরুতেও প্রচুর পর্যটকের ভিড় জমে এই শুশুনিয়া পাহাড়ে। তবে যখন পর্যটকরা পাহাড়ে উঠে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ঠিক সেই সময় জঙ্গলে আগুন লা্গে। ধীরে ধীরে এই আগুন বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। আগুনের করাল গ্রাসে চারিদিকে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ছোটনাগপুর অঞ্চলের ৪৪৮ মিটার উঁচু এই পাহাড়ে প্রচুর গাছপালা সহ ঔষধি গাছ আছে। এছাড়াও নানা ধরণের পশু-পাখি রয়েছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে এগুলির প্রবল ক্ষতি হয়েছে।
জঙ্গলে আগুন দেখামাত্রই এলাকার বাসিন্দারা দমকল ও বনদপ্তরে খবর দেন। খবর পাওয়ার পরই তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। তারপর দমদমকর্মীদের সাথে বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে কিছুটা হলেও খামতি থেকে যায়।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
তবে গতকাল রাতে আগুন জ্বলতে দেখা গেলেও আজ সকাল থেকে কোনো আগুন বা ধোঁয়া দেখা যায়নি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, হয়তো ঘন কুয়াশায় দিবালোকের আলোর মধ্যে দূর থেকে আগুন বোঝা যাচ্ছে না। তবে রাতেরবেলা অন্ধকারের মধ্যেই আগুন নিভেছে কি না বোঝা যাবে।
আগুন লাগার কারণ হিসেবে একদল মানুষের বেপরোয়া আচরণকে দায়ী করছে বাঁকুড়াবাসী এবং পরিবেশবিদরা। তবে পুরো বিষয়টি এখনো কারোর কাছে স্পষ্ট নয়।
এই বিষয়ে স্থানীয়দের দাবী, এলাকায় প্রশাসনের কড়া নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। বার বার এরকম অগ্নিকান্ড ঘটার ফলে পাহাড় ও বন বাঁচাতে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনকে উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি অবশ্যই প্রয়োজন। আর তা না হলে এই বন একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে।