নির্মিত মন্দিরের ছাদ ধসে মৃত ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার
দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ বেনারসের কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণকার্যের সময় ক্যাম্পের ছাদ ধসে পড়ে যাওয়া মৃত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বজনহারাদের পরিবার।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির সংস্কারের কাজে যোগ দিতে মালদা থেকে বারাণসীতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের আলিপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। আর বেশীরভাগ শ্রমিকই বিশ্বনাথ মন্দির সংলঘ্ন বিভিন্ন বাড়িতে থাকতেন। সোমবার রাত প্রায় ২ টো অবধি মন্দিরের নির্মাণকার্য চলছিল। কিন্তু ভোর সাড়ে ৩ টে নাগাদ আচমকাই মন্দির সংলঘ্ন একটি প্রাচীন বাড়ি ভেঙে পড়ে আট জন শ্রমিক চাপা পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। তাদের নাম ৩০ বছর বয়সী এবাদুল মোমিন ও ৪০ বছর বয়সী আমিনুল মোমিন। দুই শ্রমিকেরই বাড়ি শেরশাহী এলাকার মহেশপুর এবং রাণুচক গোঁসাইপাড়া গ্রামে।
বুধবার ফিরহাদ হাকিম মালদার কালিয়াচকের শেরশাহীতে মৃত দুই শ্রমিক ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন। মৃত দুই শ্রমিকের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহত শ্রমিকদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন।
এছাড়াও ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, “মৃত দুই শ্রমিকের পরিবার সহ আহত শ্রমিকদের পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও রাজ্য সরকার উদ্যোগ নেবে। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক”। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর এবং বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।