সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডে দোষী সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গতকাল শিয়ালদহ আদালত আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করে। কিন্তু শাস্তি ঘোষণার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবীতে অনড় ছিলেন। আর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে রাজ্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়েছিলেন। অতঃপর রাত পোহাতেই সেই মতো আরজি কর কাণ্ডের অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো।

আজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ ই আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবীতে রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু আদালত সঞ্জয়কে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী আবারও ফাঁসির দাবীতে সরব হয়েছেন।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘অপরাধীর চরমতম শাস্তির দাবী করা হয়েছিল। তবে আদালত যে শাস্তি দিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নয়। ফাঁসির সাজা হলে অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।” এই মামলায় প্রথমে কলকাতা পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে সিবিআইয়ের (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হাতে তদন্তভার যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের হাতে এই মামলা থাকলে,অনেক আগেই ফাঁসির রায় করিয়ে দিতে পারতাম।’’


তবে সঞ্জয়কে ফাঁসি না দিয়ে আজীবন কারাবাসের শাস্তি দেওয়ার কারণ হিসেবে বিচারপতি অর্নিবাণ দাস নির্দেশনামায় ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, ‘যাবজ্জীবন হল নিয়ম। আর মৃত্যুদণ্ড হলো ব্যতিক্রম’। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ‘চোখের বদলে চোখ’ বা ‘দাঁতের বদলে দাঁত’ অথবা ‘নখের বদলের নখ’ কিংবা ‘প্রাণের বদলে প্রাণ’-এর মতো প্রতিশোধমূলক প্রবৃত্তিগুলি থেকে সরে আসা উচিত। বর্বরতাকে বর্বরতা দিয়ে বিচার করা উচিত নয়।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930