নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পুরুলিয়াঃ পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ড রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক হিসাবে রঘুনাথপুরের এসডিওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ এসডিও বিবেক পঙ্কজ পুরসভায় এসে দায়িত্ব নিয়ে জানান, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরসভায় নির্বাচন হবে।” বিরোধীদের দাবী, “পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলরদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এই অবস্থা।” তবে অপসারিত পুরপ্রধান তরনি বাউরি রাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রঘুনাথপুর পৌরসভার মোট তেরোটি আসনের মধ্যে দশটি আসন তৃণমূল, দু’টি আসন কংগ্রেস এবং একটি আসন বিজেপির দখলে রয়েছে। গত ২৪ শে এপ্রিল তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই ছ’জন কাউন্সিলর এক জনকে নিয়ে রঘুনাথপুর মহকুমা শাসকের কাছে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।
আগামীকাল পৌরসভায় অনাস্থার সভা হওয়ার কথা ছিল, আর তার আগেই রাজ্য পুর ও নগরন্নয়ন দপ্তর বোর্ড ভেঙে দিয়েছে। সাত নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর দীনেশ শুক্লা বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অনাস্থা ভোটের আগের দিন ভেঙে দেওয়া হল। তৃণমূলের চুরির দায় আমরা নেব কেন? তিন বছর ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলাম তখন কেউ শোনেনি? আমরা আইনের দারস্থ হব।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অপসারিত পুর প্রধান তরনি বাউড়ি বলেছেন, “কয়েকজন কাউন্সিলরের মনোভাব চুরি করব কিভাবে? টাকা পাব কিভাবে? তাদের শুধু টাকা চাই। তারই প্রতিবাদ করে গিয়েছি। সরকারের সিন্ধান্ত অনুযায়ী মহকুমা শাসককে দায়িত্ব দিয়েছি। দলের কাউন্সিলরদের আচরণ জেলা এবং রাজ্যকে জানানো হয়েছে। রাজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
এদিকে, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রণব দেওঘরিয়া জানিয়েছেন, “আমরা অনাস্থা আনতে চাইনি। দলের প্রাক্তন সভাপতিকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই অনাস্থা প্রস্তাব জমা করেছিলাম, তারপরেও তলবিসভা ডাকা হয়নি। আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here