মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ তৃণমূল নেতা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আবার উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এবার বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালির বেড়মজুরের হালদারপাড়ায় মহিলারা তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারী চেয়ে আবার বিক্ষোভে নামলেন।
ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে স্টিং-ভিডিয়ো এবং পরে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের একাংশের ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ সংক্রান্ত দাবী নিয়ে শোরগোল পড়েছে। সেই আবহে গতকাল স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক ও দলীয় কর্মী সৈকত দাস সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রাতেরবেলা এক জন মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এবার সেই দিলীপ এবং তার দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারী চেয়ে এদিন ওই মহিলারা দিলীপদের বিরুদ্ধে করা এফআইআরের প্রতিলিপি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ডও রয়েছে। তাতে এলাকায় জলকষ্ট, খারাপ রাস্তা সহ স্থানীয় কিছু সমস্যার কথাও উল্লেখ রয়েছে। তবে তৃণমূল গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে। পাশাপাশি বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানান, ‘‘বিজেপির নেতা-কর্মীরা ওই বাড়িতে (অভিযোগকারিণীর বাড়িতে) সন্ধ্যা থেকে ছিলেন। পুরোটাই সাজানো ঘটনা।’’ এদিকে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠার কয়েক দিন আগে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে দিলীপ ও তৃণমূলের এক জন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসেই ঘটনায় দিলীপ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে কয়েক জন গ্রেফতারও হন। বিক্ষোভকারী মহিলাদের এই প্রসঙ্গে দাবী, ‘‘অন্যায় ভাবে স্থানীয়দের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের মুক্তি দিতে হবে।’’ বিক্ষোভকারী এক জন মহিলা বলেন, ‘‘ওরা বলছে, জল দেব, বাড়ি দেব। কিচ্ছু দেবে না। এদিকে আমাদের ভালো ছেলেমেয়েগুলোকে কেস দিচ্ছে। ভিডিয়ো বানিয়ে বানিয়ে ভুলভাল প্রচার করছে!’’ এদিকে বিক্ষোভকারী মহিলাদের বিরুদ্ধে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ওঠে, ‘‘বিক্ষোভের সময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার পাশ দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাকে থামানো হয়। এরপর ‘বাইরের লোক’ বলে অপবাদ দিয়ে ওই যুবকের উপর চড়াও হন। পরে অবশ্য কয়েক জন ওই যুবককে সেখান থেকে বের করে আনেন।’’ বিক্ষোভকারীদের দাবী, ‘‘এরা সব তৃণমূলের দালাল। এভাবে এলাকায় ঢোকে। আমাদের চিহ্নিত করে যায়। তারপর অত্যাচার করে। অনেকে নিজেদের বিজেপির লোক বলে দাবী করে আমাদের মুখ থেকে কথা বার করার চেষ্টা করে।’’