পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আয়লা, ফণি, বুলবুল ও আমফানের পর এবার ঘূর্ণিঝড় যশ সুন্দরবনে চরম প্রভাব ফেলেছে। ঘূর্ণিঝড় যশ এর মারাত্মক প্রভাবে সুন্দরবনের নদীগুলিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস ঘটেছে। এই প্রচণ্ড জলস্ফীতির জেরে বন্যপ্রাণীরা নিজেদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য লোকালয়ে ছুটে এসেছে। এছাড়া সুন্দরবনের কুমির সহ হরিণ অবধি নদীর জলে ভেসে গিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ এবং বনদপ্তরের সহায়তায় জীবন্ত অবস্থায় কুমিরের পাশাপাশি হরিণও উদ্ধার করা হয়।
এরইমধ্যে আজ বনকর্মীরা সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনস্থ বসিরহাট রেঞ্জের হরিখালি ক্যাম্পের হরিণভাঙ্গা জঙ্গলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে পুকুরের ধারে পড়ে থাকতে দেখে। দ্রুত বনকর্মীরা পুকুরের ধার থেকে বাঘটিকে উদ্ধার করে জল ও খাবার দেয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাঘটি জল এবং খাবার একদম কিছুই খেতে পারছিল না। এরপরই তড়িঘড়ি বনকর্মীরা কাছাকাছি বনদপ্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সজনেখালি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথেই বাঘটি মারা যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাঘটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ। বয়স প্রায় ১১ বছর। ওজন ১০১ কেজি। ঘূর্ণিঝড় যশ এর ব্যাপক দাপটে সুন্দরবনে একাধিক নদী বাঁধ ভেঙে প্রচুর বৃষ্টিপাতেরর কারণে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারণে বাঘটি যথাযথ খাবারের অভাবে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাঘটির দেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য সুন্দরবন বিখ্যাত সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরই খাদ্যের অভাবে মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।