নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বোলপুরঃ বিশ্বভারতীতে শিক্ষক-অশিক্ষক মিলিয়ে দেড় হাজার কর্মী আছেন। আর প্রায় ১০০ জন পেনশনভোগী রয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রক এদের সকলের জন্য বছরে ১৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু জুন মাসে বিশ্বভারতীর সব কর্মীর মোট ১৩ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার বেতন বকেয়া আছে। মাসের ৯ তারিখ হয়ে গেলেও এখনো বিশ্বভারতীর বর্তমান, প্রাক্তন কর্মী ও শিক্ষকরা বেতন বা পেনশন পাননি।
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিকের কাছে বেতন না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি। তাই আজ বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, “বেতন না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। এছাড়া আগামী ১০ ই জুলাই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিশ্বভারতীর ছাত্র সংগঠনের নেতা সোমনাথ সৌ বলেছেন, “করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে বেতন বন্ধ করে দেওয়া মানে বিশেষ করে স্বল্প বেতনভুক কর্মী এবং অস্থায়ী কর্মীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গতকাল ভিবিইউএফএ বেতন না পাওয়া ও অন্যান্য কিছু আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে ইমেল করে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। ইমেলে জানানো হয়েছে যে, স্বাভাবিকভাবে ৩০ শে জুনের মধ্যে বেতন ও পেনশন হওয়ার কথা। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বেতন সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সম্পূর্ণ ঘটনার জন্য উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো সহ অ্যাকাউন্টস অফিসারকে দায়ী করা হচ্ছে।