নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগের মতো মুনাফা হচ্ছে না। তাই ফোর্ড মোটর কোম্পানী ভারতে গাড়ি উত্পাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “গত ১০ বছরে তাদের ভারতে ২০০ কোটি ডলার অর্থাত্ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ধীরে ধীরে সানন্দ ও মারাইমালাইতে অবস্থিত দু’টি কারখানায় উত্পাদন বন্ধ করা হবে। এক বছর লাগবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে”।
ভারতে ফোর্ড এমন কোনো ব্যবসা করতে চায় যাতে কোম্পানি স্থায়ীভাবে লাভের মুখ দেখবে। ফোর্ড ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং এমডি অনুরাগ মেহরোত্রা জানান, “ভারতে গাড়ির বাজার যে হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল সেই হারে বৃদ্ধি পায়নি। বছরের পর বছর আমরা লোকসানে কারখানা চালিয়েছি”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ফোর্ড মোটর কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট ও সিইও জ্যাম ফারলে বলেন, “বর্তমানে যারা ফোর্ডের গাড়ি চালান তাদের নিরাশ করা হবে না। আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, ভারতে আমাদের খদ্দেরদের স্বার্থের দিকে নজর রাখা হবে। আমরা ফোর্ডের ডিলারদের সাথেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখব। বহু বছর ধরে তারা আমাদের কোম্পানীকে সাহায্য করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তাদের মুসতাং এবং আরো কয়েক ধরনের দামী গাড়ি অর্থাৎ নতুন হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি ভারতে আমদানী করা হবে”। কিন্তু ফিগো, অ্যাসপায়ার, একোস্পোর্ট, ফেইস্টাইল ও এনডেভরের মতো গাড়ির বিক্রি ক্রমশ বন্ধ করে দেওয়া হবে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ইতিমধ্যে ভারতের বাজারে নতুন কোম্পানী কিয়া মোটর এবং এমজি মোটর এসেছে। একসময় ফোর্ড চেষ্টা করেছিল যাতে দেশী গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা যায়। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
২০২০ সালের পর থেকে অতিমহামারীর জন্য গাড়ির চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ব জুড়েই সেমি কন্ডাকটর পাওয়া মুশকিল হয়ে উঠেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ফোর্ড ভারতে গাড়ি উত্পাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স এর ৬০ তম বার্ষিক সম্মেলনে তিন জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, নীতিন গড়করি ও প্রকাশ জাভড়েকর ঘোষণা করেন, “আগামী দিনে গাড়ি শিল্পের মালিকদের স্বস্তি দিতে পণ্য এবং পরিষেবা কর (জিএসটি) কমানো হতে পারে”।
কেন্দ্রীয় ভারী ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর গাড়ি শিল্পের মালিকদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করে বলেছেন, “অবিলম্বে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি করতে হবে। জিএসটি কাউন্সিল শীঘ্রই আলোচনা করবে যে বিভিন্ন শিল্পকে ছাড় দিলে রাজস্ব কতো পরিমাণে কমতে পারে।
আমি আশা করি আপনারা ভালো খবর পাবেন। জিএসটি কাউন্সিল সব ধরনের গাড়িতে দশ শতাংশ জিএসটি ছাড় দিতে পারে। আপাতত বিভিন্ন গাড়িতে পাঁচ থেকে আঠাশ শতাংশ অবধি জিএসটি বসানো হয়েছে”।