নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র দেওয়ার পরই অবশেষে আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দেশজুড়ে করোনার টীকাকরণ শুরু হলো। আজ বিশ্বের বৃহত্তম টীকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, “ভ্যাক্সিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু দেশের বৈজ্ঞানিকরা দিন-রাত উপেক্ষা করে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এই ভ্যাক্সিন বানিয়েছেন। ওঁদের প্রশাংসা প্রাপ্য। ভারত সরকার প্রথম শ্রেণীর ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে বিনামূল্যে টীকা দেবে। আর দ্বিতীয় দফায় ৩০ কোটি মানুষ টীকা পাবেন। এরপর ধীরে ধীরে সমগ্র দেশবাসীকেই টীকা দেওয়া হবে”।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ রয়েছে। এক মাসের মধ্যেই এই দুটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ডোজ দু’সপ্তাহের মধ্যেই কাজ করবে”।
সমগ্র দেশের মোট ৩০০৬ টি কেন্দ্রে টীকাকরণের কাজ হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে করোনার টীকা দেওয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সপ্তাহের শুরুতে প্রায় সাত লক্ষ করোনা প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন এসে পৌঁছায়। এই রাজ্যে মোট ২১২টি ভ্যাক্সিনের সেন্টার করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতায় ১৯ টি সেন্টার রয়েছে। এমনকি এখানেও প্রতিদিন প্রতি কেন্দ্রে ১০০ জনকে করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু দেশে টীকাকরণ শুরু হলেও দেশবাসীকে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।মাস্ক পড়া এবং দূরত্ববিধি মেনে চলা অতি আবশ্যক।
তবে টীকাকরণের আওতার বাইরে থাকবেন সন্তানসম্ভবা ও স্তন্যদাত্রী মহিলারা।