নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হরিয়ানাঃ আফ্রিকার গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাশির সিরাপের যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। তাই কেন্দ্রের নির্দেশে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও তদন্ত শুরু করেছে। এরপর কেন্দ্র ও হরিয়ানা সরকারের ওষুধ পরীক্ষকদের একটি দল হরিয়ানার সোনিপতে ওই সংস্থায় হানা দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এদিকে গ্যাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ‘মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস’ নামে হরিয়ানার সোনিপতের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকে অভিযোগের তীর উঠতেই ওই সংস্থার অফিসে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার তৈরী চারটি কাশির সিরাপের সাথে শিশুগুলির মৃত্যুর যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
রাকেশ দাহিয়া নামে সোনিপতের এক ওষুধ পরীক্ষক জানান, ‘‘গত এক সপ্তাহে পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষার জন্য কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।’’
হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, ‘‘যে চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে, সেগুলি শুধুমাত্র রপ্তানির জন্য তৈরী করা হয়েছিল। ভারতে বিক্রি করা হয়নি। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ এবং মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ নামে চারটি কাশির সিরাপের সাথে শিশু মৃত্যুর ঘটনার যোগ রয়েছে বলে হু মনে করছে। এই কারণে হু ওই চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।