দলীয় কার্যালয় থেকে নাম মুছে গেল খোদ বিধায়কেরই

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী নির্বাচনে জয়ী হলেও এখনো অবধি দলীয় কার্যালয় আসেননি ফলে পরিষেবাও মেলেনি। আর এই ক্ষোভের জেরে তৃণমূল কর্মীরাই সিমলাপালে দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড থেকে বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর নাম সহ একটি অংশ মুছে দিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে অরূপ চক্রবর্তী তালড্যাংরা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। এরপর জয়ের পর সিমলাপালের তৃণমূল কার্যালয়ের সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছিল- ‘তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর বিধায়ক কার্যালয়’।


কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গতকাল দেখা যায় যে, কে বা কারা ওই সাইনবোর্ডে ‘বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর বিধায়ক কার্যালয়’ লেখা অংশটি সাদা রং দিয়ে মুছে দিয়েছেন। তবে ওই কার্যালয়ের সাইনবোর্ডে থাকা ‘মা-মাটি-মানুষ’ লেখা অংশটি অক্ষত।


সিমলাপালের স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিখিল সিংহ মহাপাত্র জানান, ‘‘তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে আমরা কাছের ও কাজের মানুষ হিসাবেই জানতাম। কিন্তু গত ছ’ থেকে সাত মাসে তিনি এলাকায় আসেননি। কোনো শংসাপত্র পেতে হলে এলাকাবাসীকে বাঁকুড়া শহরে অরূপ চক্রবর্তীর বাড়িতে যেতে হচ্ছে।


এমনকি এই কার্যালয়ের ভাড়াটুকুও দেননি। তাই এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীদের মতোই তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীরাও ক্ষুব্ধ। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কর্মীরা বলছেন, ‘‘যখন বিধায়ক কার্যালয়ে আসেনই না তখন আর এই সাইনবোর্ড রেখে কী হবে?’’

অরূপ চক্রবর্তী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘আমি সিমলাপালের বিধায়ক কার্যালয়টি তৈরী করিনি। তৃণমূলকর্মীরা নিজেরাই ওই সাইনবোর্ড লিখেছিলেন। আবার নিজেরাই তা মুছে দিয়েছেন। মানুষের জন্য পরিষেবায় কারো ব্যক্তিগত অধিকার নেই। আদিবাসীরা ত্রিপল না পেলে আমি পাঠিয়ে দিয়েছি। সংখ্যালঘুরা খাবার না পেলে তাও পাঠিয়েছি। বিধায়কের দায়িত্ব কি, আমাকে তা কারোর কাছ থেকে শিখতে হবে না।’’

বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘বিধায়ককে নির্বাচনে জয়ী করতে তৃণমূলের যে কর্মীরা হুমকি দিয়েছিলেন, বাহুবল দেখিয়েছিলেন আজ সেই তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের দলের বিধায়কের নাম মুছে দিচ্ছেন। বিধায়ক নিজের বিধানসভা এলাকায় থাকেন না। অতএব বাইরে থাকতে থাকতে তালড্যাংরার মানুষের মনের বাইরে চলে গিয়েছেন। তাই এমন ঘটনা ঘটেছে।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031