নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে মদ খাইয়ে বেসামাল করে মাথায় পর পর হাতুড়ির ঘা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় তার পেঁচিয়ে খুন করে দেহ বস্তায় ভরে কুয়োয় ফেলে দেয়। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হুগলীর ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলপাড়া এলাকায় ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে চাঁপার সাথে জাঙ্গিপাড়ার মহেশপুরের সনাতনের বিয়ে হয়। চাঁপা ও সনাতনের একটি ১৫ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। চাঁপার দিদি দোলন ধাড়া ভান্ডারহাটি দেউলপাড়ার বাসিন্দা।
আর প্রায় সাত বছর থেকে চাঁপা ওই এলাকার ৩৭ বছর বয়সী বেচারাম মালিকের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন। এদিকে গত ২৮ শে এপ্রিল সে সনাতনকে নিয়ে ধনিয়াখালিতে ডাক্তার দেখাতে আসলে ফেরার পথে বেচারামের সাথে দেখা হয়।
আর পূর্বপরিচিত হওয়ায় সে চাঁপা এবং সনাতনকে নিমন্ত্রণ করে বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে বসেই দু’জনে মদ্যপান করেন। এরপর সনাতন বেসামাল হয়ে পড়লে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে গলায় তার পেঁচিয়ে খুন করে গভীর রাতেরবেলা বাড়ি থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরে একটি কুয়োয় ফেলে দেয়।
সকালবেলা এলাকাবাসীরা কুয়ো ব্যবহার করতে গিয়ে দেখা যায় বস্তা ভাসছে দেখে ধনিয়াখালি থানার পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বস্তা তুলে তা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ চাঁপাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়েন। অন্যদিকে বেচারামও গ্রেপ্তার হন।
পুলিশী জেরায় বেচারামের দাবী করেছেন যে, “টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে রেগে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।”