প্রৌঢ়াকে বেঁধে রেখে গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়গ্রামঃ ঝাড়গ্রাম শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাছুরডোবা কমিউনিটি হল লাগোয়া এলাকায় জানালার গ্রিল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে ৬৬ বছর বয়সী সাবিত্রী দাস নামে এক জন বৃদ্ধাকে বেঁধে নগদ ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল ছয় জন দুষ্কৃতী। সাবিত্রী দেবীর স্বামী প্রয়াত বিনোদবিহারী দাস ‘ন্যাশনাল হাইড্রোলিক পাওয়ার কর্পোরেশনের’ (এনএইচপিসি) কর্মী ছিলেন।

২০০৭ সালে অবসর নেন। এরপর ঝাড়গ্রামে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে বিনোদবিহারীবাবু প্রয়াত হওয়ায় তিনি দেবী একাই থাকেন। আর দুই মেয়ে বিবাহ সূত্রে সিউড়ি ও জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। প্রতিদিন ভোরবেলা সাবিত্রী দেবী ঠাকুর ঘরে গিয়ে জপ করেন। এদিনও এর অন্যথা হয়নি। কিন্তু আচমকা পাশের ঘর থেকে জোরে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পান।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই ঘর থেকে এবং ছাদের সিঁড়ি থেকে মুখ ঢাকা দুই জন যুবক নেমে আসে। এরপর আরো চার জন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢোকে। সবাই হিন্দিতে কথা বলছিল। তারপর সাবিত্রী দেবীর কাছ থেকে একে একে সমস্ত গহনা নিয়ে নেন। আর আলমারিতে চাবি না থাকায় সহজেই আলমারি খুলে গহনা ও নগদ টাকা লুঠ করে।


এদিকে লুঠপাট চালানোর সময় তাকে শোওয়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে রুমাল দিয়ে হাত বেঁধে শুইয়ে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখে। ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার আগে ঘরের টেবিলে রাখা বোতলের জল খেয়ে সাবিত্রী দেবীকে হুমকি দেয়, ‘ছে বজে তক নিকাল না নহি’।


ডাকাত দল ডাকাতি করে যাওয়ার সময় একটি নির্মীয়মান বাড়ির কেয়ারটেকার পবন শর্মা আওয়াজ পেয়ে দেখেন, ওই বাড়ির পাঁচিল টপকে কয়েকজন নির্মীয়মান বাড়ির চত্বর হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। চোর ভেবে আটকাতে গেলে ওই ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শাসিয়েও যায়। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও ডাকাত দলটিকে দেখা গিয়েছে।

এরপর সাবিত্রী দেবীর কান্নার আওয়াজ পেয়ে পবন ছুটে যান। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের ভিত্তিতে ডাকাতির ধারায় মামলা রুজু করেছেন। এদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শিউলি সিংহ সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে গিয়ে জানান, ‘‘ভোরবেলা জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।’’

ইতিমধ্যে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছেন। তবে পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান যে, দুষ্কৃতীরা স্থানীয়। এই ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র এলাকা জুড়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031