পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ভাঙড় দুই ব্লকের বামনঘাটা, বেঁওতা এক ও দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার কুলবেড়িয়া, হাটগাছা, তাড়দহ, হাতিশালা সহ আশপাশের এলাকায় দুষ্কৃতীরা প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনী ভাবে জলাজমি ভরাট করছে বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসক দলের কিছু নেতার সাহায্যে রাতের অন্ধকারে ওই সব জলাজমি গাড়ি গাড়ি মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এর ফলে এলাকার বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। এদিকে ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকের বামনঘাটা, বেঁওতা এক এবং দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা নিউটাউন লাগোয়া হওয়ায় এই সব এলাকার জমির দাম প্রচুর।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএমনিতেই এই সব এলাকার অধিকাংশ জমি জলাভূমি আবার কিছু মৎস্য দপ্তরের অধীন পুকুর ও মেছোভেড়ি এবং পুকুর। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, জলাভূমি কোনো ভাবেই ভরাট করা যায় না। আর পুকুর ও মাছের ভেড়ি ভরাট করার ক্ষেত্রে জমির চরিত্র বদল করা প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কাজ করা হচ্ছে। এমনকি শাসকদলের নেতা সেখানে দলীয় কার্যালয়ও তৈরী করছেন।
এই বিষয়ে তৃণমূলের ভাঙড় বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, “দল এই ধরনের বেআইনী কোনো কাজ অনুমোদন করে না। যারা এই ধরনের বেআইনী এবং সমাজবিরোধী কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিষয়টি নজরে আসার পরেই আমি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereভাঙড় দুই নম্বর বিএলআরও আমিনুল ইসলাম বলেন, “কুলবেড়িয়া এলাকায় জলাজমি ভরাট নিয়ে মৎস্য দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এছাড়া জলাভূমি ভরাট নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা সেই রিপোর্টও জমা দিয়েছি। কোথাও এই ধরনের কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
জেলার মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার বলেছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিডিওকে খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি। সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”