নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কর্ণাটকঃ প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় কোনো মন্ত্রীর যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও জনসমক্ষে এলো। কর্ণাটকের জলসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলির বিতর্কিত যৌন ভিডিও প্রকাশ্যে আসার ফলে প্রচণ্ড বিপাকের মধ্যে পড়েছেন বি এস ইয়েদুরাপ্পার সরকার। ওই ভিডিওতে জলসম্পদ মন্ত্রীর এক তরুণীকে সরকারী চাকরী দেওয়ার নামে যৌনতার প্রস্তাব রাখতে দেখা যায়। রমেশ জারকিহোলির একটি অডিও ক্লিপিংও প্রকাশ্যে এসেছে।
গতকাল সেই অডিও-ভিডিও ক্লিপিং সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। এরপরে দীনেশ কালাহাল্লি নামে একজন সমাজকর্মী ওই তরুণীর পক্ষ থেকে বেঙ্গালুরুর কাব্বন পার্ক থানায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রের খবর, মন্ত্রীর কাছ থেকে জবাবদিহি চাওয়া হবে। তারপর মন্ত্রীকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। আর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, “দলীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে”।

- Sponsored -
প্রসঙ্গত, বেলাগাভি অঞ্চলের ৬০ বছরের বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি মন্ত্রী সভায় একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেস ও জনতা দলের ১৭ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কংগ্রেস-জনতা দল জোট সরকার পতনের নেপথ্যে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
গতকাল মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলির যৌন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই যুব কংগ্রেস কর্মীরা তাঁর পদত্যাগের দাবীতে রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভ শুরু করেন। আগামীকাল রাজ্যের বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আর খুব শীঘ্রই কর্নাটকের বেলাগাভি এবং মাসকি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনও রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে বিজেপির আশঙ্কা এই ভিডিও ফাঁস হওয়ায় অধিবেশনে অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সেক্স ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি বলেছেন, “এটা একটা ভুয়ো ভিডিও। আমি এই মহিলার সঙ্গে কোনোদিন কথাও বলিনি। আমি এই মহিলা ও তার অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি মাইসোরে ছিলাম এবং চামুন্ডেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলাম। এই ভুয়ো ভিডিও নিয়ে আমি আমার দলের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে কথা বলব। এটা আমার বিরুদ্ধে খুবই মারাত্মক অভিযোগ। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি। এই ঘটনায় অবশ্যই তদন্ত হওয়া দরকার। এমনকি যদি এই ঘটনা সত্য প্রমাণিত হয় তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব”।