নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ প্রায় এক মাস আগে শ্যামপুর এক নম্বর ব্লকের বেলাড়ি পঞ্চায়েতের পূর্ব বাসুদেবপুরে হুগলী নদীর পশ্চিম পাড়ের বাঁধে প্রায় ৫০ ফুট ধস নেমেছিল। সেচ দ্পতর শালবল্লার পাইলিং করে মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামত করেছিল। কিন্তু এবার কিছুটা দূরে আবার প্রায় ২০০ ফুট নদী বাঁধে ধস নেমেছে।
ফলে বাঁধ সংলগ্ন এলাকাবাসীরা ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাড়ি খালি করে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ যে, ‘‘সঠিক ভাবে বাঁধ মেরামত হচ্ছে না। বাঁধের উপর দিয়ে স্থানীয় একটি কারখানার ভারী যান চলাচলের জন্য বাঁধ বসে যাচ্ছে। তবে বার বার ধস নামা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।’’
অবিলম্বে বাঁধের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করা ও সঠিক ভাবে বাঁধ মেরামত করার দাবী তুলে গ্রামবাসীরা প্রায় দু’ঘণ্টা ৫৮ গেটের কাছে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেন। এদিকে সেচ দপ্তর ধস মেরামতি শুরু করে দেয়।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানান, ‘‘দীর্ঘদিন পোর্ট ট্রাস্ট নদী ড্রেজিং করেনি। জাহাজগুলি নদীর পশ্চিম দিক ঘেঁষে যাতায়াত করছে। সেই কারণে জলের ধাক্কায় নদীর পশ্চিম পাড় ভাঙতে শুরু করছে। পোর্ট ট্রাস্টকে অনুরোধ করব, যাতে নদীর ড্রেজিং দ্রুত শুরু করে। না হলে পরবর্তী সময়ে আরো ভয়াবহ ধস দেখা দেবে।’’
সেচ দপ্তরকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামত করতে বলা হয়েছে। এদিন পুলক রায়ের সাথে উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসক শমীককুমার ঘোষ এবং সেচ দপ্তরের একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
সেচ দফতরের আধিকারিক চন্দ্রশেখর রাওপান বলেন, ‘‘আপাতত শালবল্লার পাইলিং করে মাটি ফেলে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করা হবে। পরে পাকাপাকি ভাবে বোল্ডার ফেলে বাঁধ মেরামত করা হবে।’’