নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ কালীপুজোর পর থেকেই রাজধানী ধুলো ও ধোঁয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের সবচেয়ে বায়ু দূষিত শহর হিসেবে দিল্লির নাম উঠে এসেছে। পরিস্থিতি এতোটাই সংকটজনক যে অনেক পরিবেশবিদ একে ১৯৫২ সালের লন্ডনের গ্যাস চেম্বার পরিস্থিতির সাথে তুলনা করতে শুরু করেছেন।
প্রাথমিক ভাবে বায়ু দূষণের কারণ হিসেবে প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে কৃষি জমিতে খড়-বিচালি পোড়ানোকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, দিল্লির দূষণের মাত্র ১০ শতাংশ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে খড়-বিচালি পোড়ানোর ফলে হচ্ছে।
ক্রমাগত এই বায়ুদূষণের ফলে অসুস্থতার ঘটনাও ঘটছে। চোখ জ্বালা, চোখ দিয়ে জল গড়ানো, কাশি-কফের সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসনালী ও ফুসফুসে সংক্রমণের ঘটনাও বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে শিল্প দূষণ কমাতে দিল্লির ১১ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ছ’টি বন্ধ রাখা হয়েছে।
চিকিৎসক সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির বাতাসে ২.৫ মাইক্রন ঘনত্বের সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) বৃদ্ধির কারণে ফুসফুসের সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে। বাতাসে ভাসমান সাধারণ ১০ মাইক্রন ঘনত্বের ধূলিকণা (পিএম ১০) নাকের ভিতরে রোমে আটকে গেলেও পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম ধূলিকণা সরাসরি ফুসফুস অবধি পৌঁছে যেতে পারে।
তাই দিল্লি সরকারের তরফ থেকে দিল্লিবাসীকে দূষণ প্রতিরোধে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। বাইরে বের হলে গলায় স্কার্ফ এবং চোখের জ্বলুনি কমাতে সানগ্লাস পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে থাকাকালীন প্রয়োজন হলে মাস্ক পরার কথাও বলা হয়েছে।