চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশী অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিল বামেরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এই কথা জানান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ যেভাবে আমাদের কমরেডদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে তার জন্যই এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি”।
প্রসঙ্গত, এদিন বামপন্থী কর্মী-সমর্থকরা নবান্ন ঘেরাও অভিযানের সময় বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশ নবান্নমুখী মিছিল আটকে দেয়। যার জেরে ধর্মতলা চত্বর ধুন্ধুমার চেহারা নেয়। এরফলে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী কর্মী-সমর্থকরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বামেদের নবান্ন ঘেরাও অভিযানে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে কলকাতা পুলিশ। জলকামান থেকে টিয়ার গ্যাস সবই ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের লাঠির গায়ে বেশ কয়েকজন বাম কর্মী-সমর্থকের মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ করে বামেরা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বামেরা রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য বলেন যে, “আজ বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনগুলির পূর্ব নির্ধারিত নবান্ন অভিযানে রাজ্যের ছাত্র-যুবরা শান্তি পূর্ণভাবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নৃশংসতার সঙ্গে মিছিলের ওপর আক্রমণ করে। নির্বিচারে লাঠি, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। এটা এক চরম স্বৈরাচারী শাসকের একান্ত বিকৃত মনোবাসনা পূরণের কুত্সিত আয়োজন। আমরা তৃণমূল সরকারের এই চরম অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা করছি। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। আগামীকাল রাজ্য বামফ্রন্ট রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালন এবং ১২ ঘন্টার হরতালের ডাক দিয়েছে। এই হরতাল সফল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করুন”।
সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “আজকের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বাম-কংগ্রেস শিবিরের যুব-ছাত্র সংগঠন সারা রাজ্য জুড়ে কয়েকলক্ষ বেকার যুবকদের হয়ে নবান্নে কথা বলতে এই মিছিলের আয়োজন করেছিল”। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারকে একহাতে নিয়ে জানিয়েছেন, “রথযাত্রায় পুলিশী পাহারা দেওয়া যায় কিন্তু ছাত্র মিছিলে পুলিশী নিরাপত্তা নেই। চপ্রচুর ছাত্রছাত্রী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। অনেকেই গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে”।