মিনাক্ষী দাসঃ কলকাতাঃ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করলেন। নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘এই রাজ্যে শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করা হলো। এই সিনেমায় যে সব দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। তাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই ছবির সমালোচনা করেন। দ্য কেরালা স্টোরি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলি আগুন নিয়ে খেলছে। জাত-ধর্ম-বর্ণ নিয়ে ভেদাভেদ তৈরীর চেষ্টা করছে। কাশ্মীর ফাইলস কেন? একটি সম্প্রদায়কে হেনস্থা করার জন্য। কেরালা ফাইলস কেন? সেও এক অসত্য ও বিকৃত কাহিনী।’’
‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্মান্তরণের কথা বলা হয়েছে। কেরালার বাম সরকার যা মিথ্যা বলে দাবী করেছিল। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেরলের শাসকদলকে সমর্থন না করে বলেছেন, ‘‘আমি সিপিএমকে সমর্থন করি না। আমি মানুষের কথা বলছি। সিপিএম তো বিজেপির সাথে মিলে কাজ করছে।
এই সমালোচনা আমার করার বদলে ওর নিজেরই করা উচিত ছিল। ওরা একসাথে হাঁটে। সেই বিজেপিই কেরালা স্টোরি দেখাচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ প্রসঙ্গও নিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘দিন কয়েক আগেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী ও ওই ছবির অভিনেতা অনুপম খেরও বাংলায় এসেছিলেন। আর জানিয়েছিলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই দ্য বেঙ্গল ফাইলস নামেও একটি ছবি করতে চলেছেন।’’
‘‘ওরা বলেছিল, ওরা ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নামে একটা ছবি করছে। যদি এরা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ করে থাকে কাশ্মীরের মানুষের নিন্দা করার জন্য, যদি কেরালায় এক পেশে বক্তব্য দিয়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ করে থাকে, তবে বাংলাকেও সেভাবেই দেখাবে।’’
এর আগে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ তামিলনাড়ুতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার এই ছবিটিকে মধ্যপ্রদেশে সরকার নিজের রাজ্যে করমুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্নাটকের বল্লেরির জনসভায় ‘দ্য কেরালা স্টোরির’ ভূয়সী প্রশংসা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘এই ছবি সন্ত্রাসবাদের মুখোশ টেনে খুলবে।’’