নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ত্রিপুরাঃ বাংলাদেশে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার প্রভাব এপার বাংলাতে পড়লো। এবার ত্রিপুরাতে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা ও মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই অরাজকতা আটকাতে যখন দেশের বাসিন্দাদের একাংশ প্রতিবাদে সরব হন তখন ত্রিপুরার প্রশাসন নড়েচড়ে বসলো।
গোটা ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একইসাথে মসজিদ সহ সংখ্যালঘুদের সমস্ত ধর্মীয় স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বুধবার রাতেরবেলা উত্তর ত্রিপুরার জেলা প্রশাশন বলেছেন, “পাথর ছোঁড়া থেকে শুরু করে ধর্মনগর এবং পানিসাগর মহকুমা এলাকায় বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে দুই জায়গাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে”।
অন্যদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের শাখা সংগঠন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে রাজধানী আগরতলা সহ গোটা ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। একইসাথে সেই মিছিল থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সেদেশের হিন্দুদের প্রাণ, জমি, সম্পত্তি এবং ধর্মীয় স্থান সুরক্ষিত করার আবেদন জানানো হয়।
আরো একজন পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, “যেখানে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের বসবাস সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বড়ো মসজিদগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলি কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়েছে”।
পাশাপাশি ত্রিপুরা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “ভুয়ো টুইটার প্রোফাইল থেকে ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে। এসবে কান দেবেন না। ভুয়ো ছবি শেয়ার করবেন না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চলছে প্রশাসন সতর্ক আছে। যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।