নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শাশুড়ির মৃত্যু হয়। আর স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরদিন আদিবাসী পাড়ার অনতিদূরে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই সন্দেহে প্রতিদিন সোম সোরেন এবং সুকতি সোরেনের মধ্যে অশান্তি হত। এই অশান্তির জেরে সোম ও সুকতি একসাথে থাকতেন না। আর সম্প্রতি পরিবারের একজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নতুন করে গোলমাল শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুকতি তার মা ৬৫ বছর বয়সী মুঙ্গুলি দেবীকে নিয়ে এক জন আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে সোমও নিমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু যাননি।
এরপর রাতেরবেলা যখন বিয়েবাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন, তখন সোম ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে পৌঁছে সুকতি এবং মুঙ্গুলি দেবীর ঘরে প্রবেশ করে তাদের একের পর এক কোপ দিতে থাকেন। তারপর তাদের চিৎকারে আশপাশের ঘরের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে সুকতির স্বামী সেখান থেকে চম্পট দেন। অন্যদিকে, আত্মীয়-পরিজনরা ঘরে আসতেই দেখে, রক্তাক্ত অবস্থায় সুকতি ও মুঙ্গুলি দেবী মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন। এরপর দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বন নবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মুঙ্গুলি দেবীর মৃত্যু হয়।
আর সুকতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেরবেলাই বন নবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বর্ধমান মেডিকেলে স্থানান্তরিত করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। পাশাপাশি এদিন সোমের দেহ একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তারপর এলাকাবাসীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সোমের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এছাড়া মুঙ্গুলি দেবীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।