রায়া দাসঃ কলকাতাঃ এসএসকেএমের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারী হাসপাতালে প্রভাবশালীরা বেড দখল করে থাকায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এই অভিযোগের সত্যতা জানতে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রিপোর্ট তলব করেছে।
মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের অভিযোগ, “এসএসকেএম হাসপাতালে সাধারণ মানুষ জায়গা পাচ্ছেন না। অথচ প্রায় চার মাস থেকে কালীঘাটের কাকু সেখানে বেড দখল করে রয়েছেন।” আর রমাপ্রসাদ সরকারের আইনজীবী আদালতে জানান, “এসএসকেএম হাসপাতাল দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনের আশ্রয়স্থল হয়ে গেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রাজ্যের যেসব প্রভাবশালী জেলে যাচ্ছেন, যাঁদেরকেই ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ও সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।” এরপরই টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই ব্যাপারে এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টরের কাছে রিপোর্ট তলব করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, “গতকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল গ্রহণ করার জন্য জোকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার এসএসকেএম হাসপাতালে ফেরত আনা হয়েছে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তারপর প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “যদি জেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে যেকোনো বন্দিকে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। তবে তিনি সুস্থ হলে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে।” পাল্টা ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, “সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন এসএসকেএম হাসপাতালের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে থাকার সুযোগ পাচ্ছে।”
যা শুনে বিস্মিত প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, “এটা তো হতে পারে না। সাধারণ মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পাবে না আর প্রভাবশালী আর প্রভাবশালীরা বেড দখল করে থাকবে।” তারপরই এসএসকেএম হাসপাতালে বেড দখল করে থাকা গ্রেফতার হওয়া প্রভাবশালীদের বিস্তারিত তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধা কি কি পাচ্ছেন তাও বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ শে জানুয়ারী এই মামলার শুনানি হবে।