নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার ভীমপুর থানার আসাননগর হাইস্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এক শিক্ষকের মেসেজ করাকে ঘিরে বিতর্কের জেরে প্রধানশিক্ষকের ঘরে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মনোজিৎ বিশ্বাস প্রধানশিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন। তখন থেকেই মনোজিৎবাবু একাধিক ইস্যুতে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সাথে মতানৈক্য হয়। এরপর তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির সভাপতি গোপাল ভঞ্জের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।
অন্য দিকে, সহকারী প্রধানশিক্ষক সমর বিশ্বাস মনোজিৎবাবুর বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতিতে মৌখিক অভিযোগ জানান। আর এদিন বিদ্যালয়ের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এক জন শিক্ষকের পাঠানো মেসেজ ঘিরে উত্তেজনা তৈরী হয়। ফলে এলাকাবাসীরা মনোজিৎবাবুর ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রধানশিক্ষকের অভিযোগ, ‘‘আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করায় মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক দল কর্মী-সমর্থক ঘরে ঢুকে মারধর করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে তিনি নিজেও তৃণমূল করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকরা নিয়ে যান। বিদ্যালয়ের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা একেবারে কল্পনাতীত।’’
কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের স্থানীয় নেতৃত্ব মারধরের কথা অস্বীকার করে দাবী করেছে, ‘‘মনোজিৎবাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রতিবাদ চলছে।’’ সংগঠনের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সম্রাট পাল জানান, ‘‘আপত্তিকর একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ চলছিল।’’ তবে এলাকাবাসীদের বক্তব্য, ‘‘মনোজিৎবাবু বিদ্যালয় ভর্তির নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন। এর সাথে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনো যোগ নেই।’’