নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দিল্লিঃ দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি জিএসটির বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবী করছিল। অবশেষে আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর নির্মলা জানান, “খুব শীঘ্রই রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ পাওনা অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।”
জিএসটির বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বহুবার অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন, “কেন্দ্র জিএসটির টাকা আটকে রাখায় রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থমকে যাচ্ছে।” এই ব্যাপারে সংসদেও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সাংসদরা সরব হয়েছিলেন।
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য বলা হয়, রাজ্যগুলি সরকারী খরচের হিসাব সংক্রান্ত নথি জমা না দেওয়ার কারণেই জিএসটির বকেয়া অর্থ বরাদ্দ করা যাচ্ছে না। এদিন নির্মলা সীতারামন বলেন, “গত পাঁচ বছরের জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ যে ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, তা খুব শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে। আর সরকার নিজের তহবিল থেকেই এই টাকা মেটাবে।”

- Sponsored -
২০১৭ সালের জিএসটি আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির প্রাপ্য শুল্কের একটা পরিমাণ সরাসরি কেন্দ্রের কাছে যাচ্ছে। কিন্তু তার জন্য রাজ্যগুলির যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে স্থির করা হয়।
এর পাশাপাশি এই বৈঠকে বেশ কিছু দ্রব্যে জিএসটির হারে বদল আনা হয়েছে। যেমন গুড় ও গুড়জাতীয় খাবারের জন্য আগে যে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হত, এবার থেকে তার কোনো জিএসটিই দিতে হবে না এবং পেনসিলের শিস ধারালো করার যন্ত্রের উপর বসানো জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।