নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ এবার থেকে সরকারী-বেসরকারী যেকোনো কাজে একমাত্র নথি হিসাবে জন্ম শংসাপত্র ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, ‘ভোটার তালিকা তৈরী থেকে শুরু করে আধার কার্ডের আবেদন, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে সরকারী চাকরী সব ক্ষেত্রেই জন্ম শংসাপত্রকেই একমাত্র নথি হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বাদল অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় বিলটি পেশ করে দাবী করেছিলেন, “এই সংশোধনীর ফলে ভারতীয়দের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য আরো নিখুঁত ভাবে সরকারের হাতে থাকবে৷ এতে সরকারী সুযোগ-সুবিধা বিতরণের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আসবে৷ এছাড়া এই সাধারণ মানুষ ডিজিটাল ও ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পাবেন৷ তাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ভাণ্ডারেও আমাদের জন্মের সাল-তারিখ সম্পর্কে আরো নিখুঁত তথ্য থাকবে৷
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর যারা প্রকৃত প্রাপক, তাদের কাছেই সরকারী সুযোগ-সুবিধা যথাযথ ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে৷ এছাড়াও কার জন্ম স্থান কোথায়, তার প্রামাণ্য নথি হিসাবেও এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রকেই ব্যবহার করা যাবে৷ ফলে বিদ্যালয়ে ভর্তি ও সরকারী চাকরীর নিয়োগের ক্ষেত্রেও জটিলতা অনেক কমবে৷ তাছাড়া পাসপোর্ট এবং আধার নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রেও একাধিক নথির পরিবর্তে শুধুমাত্র জন্ম শংসাপত্র জমা দিয়েই আবেদন করা যাবে৷
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন তৈরী হওয়ার পর থেকে আজ অবধি কোনো সংশোধনই হয়নি৷ কিন্তু সামাজিক ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রাখতেই এই আইনটি সাধারণ মানুষের কাছে আরো উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন ছিল৷ সেই কারণেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে৷” গত ১ লা আগস্ট লোকসভায় এবং ৭ ই আগস্ট রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। আর আগামী ১ লা অক্টোবর থেকেই জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত ক্ষেত্রে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে তথ্য ভাণ্ডার তৈরীর করার কাজ কার্যকর হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here