অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ উত্তর কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের টাকি বয়েজ় স্কুলে একতলায় পরপর চারটি বুথ ছিল। যার তিন নম্বর বুথের মধ্যেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। শুধু তাই নয় বুথের সামনে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটলো। যাকে কেন্দ্র করে এলাকাময় এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়।
ভোটাররা অভিযোগ তুলছে যে, ‘‘ভোট দিতে আসলে তাদের বলে দেওয়া হচ্ছে অন্য ঘরে দেখুন। এই ঘরে আপনাদের ভোট নেই। কিন্তু এর মধ্যে দুই ব্যক্তিকে ইভিএমের ঘেরাটোপে ঢুকে কিছু একটা করতে দেখা গিয়েছিল’’।
প্রিসাইডিং অফিসারকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, ‘‘কেউ কোনো অভিযোগ করেননি! আমি কি করে বলব?’’ আবার বুথের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকর্মীও বলেন, ‘‘আমাদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই। আমিই বা কী করব?’’
এদিকে ওয়ার্ডের বাইরে উপস্থিত তৃণমূল প্রার্থী তথা বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল বলেছেন, ‘‘ভালো ভোট হচ্ছে শুনে দেখতে এলাম’’। তবে বুথের ভিতরে চলা ছাপ্পা ভোট সম্পর্কে কোনোরকম মন্তব্য করেননি।
এও জানা যাচ্ছে যে, এই ঘটনায় গুরুতরভাবে তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই আহতরা হলেন দীপু দাস, অমিত দত্ত ও অর্পণ নন্দী।
এই ঘটনার পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় ঢুকে জমায়েত সরাতে থাকে পাশাপাশি যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সেখানে কোনো প্রার্থী দলবল নিয়ে বসে থাকে কিভাবে সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ডিসি (ইএসডি) প্রিয়ব্রত জানিয়েছেন, ‘‘সব কিছুরই রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। গাফিলতি হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’।
অন্যদিকে আবার বেলেঘাটায় বাম এজেন্টকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। বড়তলা থানার সামনে বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থী সহ দলীয় কর্মীরা ধর্নায়ও বসেন।
অর্থাৎ পুরভোটকে কেন্দ্র করে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে বিভিন্ন বুথে বুথে এই ধরণের বোমাবাজি ও মাধরের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্নও উঠেছে।