নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের রায়না ও মেমারীর বহু বাসিন্দা আমূলের মিষ্টি দই খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে যায়। ফলে পূর্ব বর্ধমানে জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই নিষিদ্ধ করেছে।
জানা গেছে, এই দুই ব্লকের প্রায় দেড়শো জনের মতো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলেরই বমি এবং পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা গেছে। এরপর অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠান বাড়ির মেনুতে থাকা সব খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মেডিকেল টিম প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পারে, যেসব মানুষ অসুস্থ হয়েছেন সকলেই কোনো অনুষ্ঠানে খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে আমূলের মিষ্টি দই খাওয়ানো হয়েছিল।
এরপর দইয়ের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই আমূল মিষ্টি দই বাঁকুড়ার ‘ইন্ডিয়ান ডেয়ারী প্রোডাক্টস লিমিটেড’ কোম্পানীতে তৈরী হয়েছিল। ব্যাচ নম্বর কেপিভি৩৬৫৩। দইটি ল্যাবরেটরীতে মাইক্রোবায়োলজিকাল পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে যে ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের দইতে ‘স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস’ নামে একটি ব্যাক্টেরিয়ার হদিশ পাওয়া গেছে।
এই কারণেই ওই দই থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শীঘ্র ওই ব্যাচের সমস্ত মিষ্টি দই নিষিদ্ধ করা হয়। আমূলের সমস্ত ডিস্টিবিউটার, রিটেলার ও হোলসেলারদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর এই নির্দেশ অমান্য করা হলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ক্রেতাদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, এখন সাধারণ মানুষ প্যাকেটজাত খাবার খেতেই অভ্যস্ত। তাই মানুষ এই ধরণের ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত। আর যদি এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরী হয় তাহলে খাদ্য দপ্তর বা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে ওই কোম্পানীর পাশাপাশি সমস্ত ধরনের কোম্পানীর প্যাকেটজাত খাবারে নজরদারী চালাতে হবে।