ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ আজ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “এদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ক্যাম্পাস খালি করতে হবে। শিক্ষার্থী ও আবাসিকদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।” এই ছাত্র-যুব আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এক থমথমে পরিবেশ বিরাজমান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকারী চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ৫৬ শতাংশ সংরক্ষিত ও ৪৪ শতাংশ সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। সেই সংরক্ষণ বাতিলের দাবীতে ২০১৮ সালেও সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তবে তখনকার মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলন থামাতে সমর্থ হয়েছিল। সাত জন মুক্তিযোদ্ধার স্বজন ২০১৮ সালেরর সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশনামার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে আদালতে যান।
আর গত ৫ ই জুন আদালত রায় দেয় যে, সরকারের নির্দেশ অবৈধ। এরপর থেকে আবারও ছাত্র এবং যুব সমাজের একাংশ আন্দোলনের পথে নামে। গতকাল রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে প্রায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। আবার এদিনও আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলিগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। দেশের সরকারের একাধিক প্রতিনিধি জানাচ্ছে, “শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলন দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পিছুপা হবে না।
আর প্রয়োজনে আন্দোলনকারীরা চাইলে আলোচনাতেও বসতে পারে।” কিন্তু আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য যে, এখন দেশের চলমান আন্দোলন সরকারকে গদিচ্যুত করার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে। সেই কারণে আন্দোলন প্রশমিত করতে সরকারের নরম হওয়ার কোনো জায়গা নেই। ফলে কঠোর হাতে আন্দোলন রোখার কাজ শুরু হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টির আবেদন করেছে।