চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আজ আদালত চোদ্দ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এদিন শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই অনুমতি দিয়েছে আদালত।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করানো হয় ধৃতকে। আদালতের বাইরে রয়েছেন এক জন ডেপুটি কমিশনার। পর পর রয়েছে দু’টি ঘেরাটোপ। তার মাঝে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তাদের মাথায় হেলমেট। সঙ্গে র্যাফও রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছেন সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, আদালত কক্ষের পরিবর্তে বিচারকের চেম্বারে হয়েছে শুনানি। সেখানে সাংবাদিক এবং বাইরের কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আদালতে যখন শুনানি চলছে, তখন বাইরে বিচারের দাবিতে উঠেছে স্লোগান। অনেকেই ধৃতের ‘ফাঁসি’ দাবি করেছেন। এই আবহে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সিবিআই শুক্রবার দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে অভিযুক্তকে বার করে। অভিযুক্তের গায়ে ছিল ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া একটি লাল গেঞ্জি। মাথা এবং মুখ নীল কাপড়ে ঢাকা ছিল। পুলিশের গাড়িতে তাঁকে ওঠানোর সময় সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়। যদিও ধৃতের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা তাঁকে গাড়িতে তুলেই দরজা বন্ধ করে দেন। অভিযুক্তকে নিয়ে শিয়ালদহের আদালতের উদ্দেশে রওনা দেয় গাড়ি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে তাঁকে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারকে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। শুক্রবার সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পরেই তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সে সময় ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তারা। এ বার তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। আর তার অনুমতিও পাওয়া গিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here