পেট্রোজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ মুখ্যমন্ত্রীর
অমিত জানাঃ হাওড়াঃ বৃহস্পতিবার সকাল! সদ্য জেগে ওঠা শহরে তখন চরম ব্যস্ততা! তখন ঘড়ির কাঁটা প্রায় সকাল সাড়ে এগারোটা ছুঁইছুঁই। তখন হাওড়ার নবান্নের আশেপাশে কড়া নিরাপত্তা বলয় দিয়ে ঘেরা। অন্যদিনের থেকে এদিন একটু বেশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাওড়ার নবান্ন চত্বরে। কারণ বুধবার রাতেই জানা যায় ব্যাটারি চালিত স্কুটারে চড়ে নবান্ন যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন কথা তেমন কাজ।
বৃহস্পতিবার পেট্রোজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব কায়দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নামলেন। এদিন তিনি কালীঘাটের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত স্কুটিতে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই স্কুটারের চালক ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তাঁর পিছনে বসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাখা ফেস্টুন ঝুলছিল। এই স্কুটার সফরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল। আশপাশে স্কুটারেই পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন। অনেক পিছনে পুলিশের নিরাপত্তা সম্বলিত গাড়ি ছিল।
তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচীতে কোনো দলীয় কর্মী হাজির ছিলেন না। রাস্তার ধারে অনেকেই স্কুটিতে তাঁকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে দেখা যায়। তিনি নবান্নের আসতেই তাঁকে মহিলা নিরাপত্তা কর্মীরা ঘিরে ধরেন। তখনও জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যেভাবে পেট্রোজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে যাচ্ছে। এবার দেশের নাম বদলে যাবে”।
মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিনব প্রতিবাদকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একজন স্ট্রিট ফাইটার। তিনি রাস্তায় আন্দোলন করে এই জায়গায় এসেছেন। উনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য পথে নেমে, পায়ে হেঁটে আন্দোলন করেন। এটা তাঁর পক্ষেই সম্ভব। এইরকম আন্দোলন কেউ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।