চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার কথা ও সংখ্যালঘু ভোটকে একজোট করা নিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচন কমিশন শোকজ করলেন। আর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ২৪ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আজ রাত আটটা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যার জেরে আজ তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমতি ছাড়াই মেয়ো রোডে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু করলেন।
প্রসঙ্গত, গতকালই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কমিশনের শোকজের যে জবাব দিয়েছেন তাতে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট নয়। তিনি ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ (৩) এবং ৩ এর ধারা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬,১৮৯ ও ৫০৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রচারের ওপর শোকজ আরোপ করেছেন।

- Sponsored -
সূত্রের খবর অনুযায়ী যায়, মেয়ো রোডে গান্ধিমূর্তির এলাকাটি ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের অধীনে। সুতরাং যে কোনো অনুষ্ঠান অথবা মিটিং-মিছিলের জন্য ভারতীয় সেনার অনুমতি প্রয়োজন। সেই কারণে আজ সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নার জন্য আবেদন করলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনো অনুমতি দেয়নি। সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, “এতো অল্প সময়ের মধ্যে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়”।
ধর্নার শেষে আজ রাত আটটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সমর্থনে বারাসাত এবং সুজিত বসুর সমর্থনে বিধাননগরে জোড়া সভা রয়েছে। সময়ের অভাবে নদিয়ার কর্মসূচী বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ১৪ ই এপ্রিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পঞ্চম দফার আসনগুলির জন্য শেষ প্রচার করা যাবে।