অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। জানা যায়, ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে দেহ আসে। তারপর সেই দেহ তোপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর আজ সাধন পাণ্ডের দেহ কাঁকুরগাছির বাসভবনে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে গোয়াবাগানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা ১২ টা নাগাদ সাধন পাণ্ডের মরদেহ বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁর মরদেহে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া মন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ সৌগত রায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা সহ সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে, অভিনেত্রী ঋতুপ্রণা ঘোষও পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সাধন পাণ্ডে মোট নয় বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১১ সাল থেকে রাজ্য মন্ত্রী সভার সদস্য।
তাঁর মৃ্ত্যুতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইটারে লেখেন, “আমাদের প্রবীণ সতীর্থ, দলের নেতা এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী সাধন পান্ডে প্রয়াত হয়েছেন৷ দীর্ঘদিন থেকে তাঁর সঙ্গে অসাধারণ সম্পর্ক ছিল৷ এই ক্ষতিতে গভীর ভাবে ব্যথিত৷
তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি আমার অগ্রজকে হারালাম। তাঁর পরিবার, বন্ধু সহ অনুগামীদের আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই৷”
এদিকে সাধন পান্ডের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় গতকাল বলেন, “উত্তর কলকাতায় তার মাপের আর কোনো নেতা আর রইল না। সুব্রত চলে গেল, সাধানও চলে গেল। মনের মধ্য়ে একটা শূন্যতা তৈরী হচ্ছে।”