দিঘার জগন্নাথধামের প্রসাদ ও ছবি সকল রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে যাওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ আজ অক্ষয়তৃতীয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ দুপুর ৩টে থেকে ৩টে ১৫ মিনিট অবধি। তাই ওই শুভ ক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করলেন। দরজা ঠেলে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলেন। ভিতরে থাকা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের সামনে আরতীও করলেন।

সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে রয়েছেন। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দেন। এদিন দ্বারোদ্ঘাটন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাঁট। গায়ক নচিকেতা, জিৎ গাঙ্গুলী থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকারা এসেছেন। এছাড়া উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রূপঙ্কর বাগচী, অদিতি মুন্সি, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, লাভলি মৈত্র, অরিন্দম শীল, শ্রীকান্ত মোহতা, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দিগন্ত বাগচী সহ বাংলা বিনোদন দুনিয়ার নানা পরিচিত মুখ উপস্থিত ছিলেন।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ ধাম থেকে জানান, “জয় জগন্নাথ-জয় বাংলা বলে এই জগন্নাথ দেবের মন্দির মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করলাম। তথ্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগকে আমি দায়িত্ব দিচ্ছি যাতে একটু করে প্রসাদ ও জগন্নাথ দেবের ছবি পশ্চিমবঙ্গের সকলের বাড়ি এবং ভারতের বিখ্যাত মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যায়। আর মন্দিরের দ্বার খুললে যখন খুশি আসবেন। পাশেই গজা-প্যারা-খাজার দোকান তৈরী হচ্ছে। মেইন মন্দিরে ধ্বজা ওড়ানো হয়েছে। মন্দিরের শীর্ষে বিষ্ণুর অষ্টধাতুর নীলচক্র। চারটি প্রবেশ দ্বার রয়েছে। এতে গর্ভগৃহ, নাটমন্দির, ভোজমণ্ডপ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মণ্ডপ রয়েছে।


এখানে যেমন পাথরের তৈরী বিগ্রহ আছে, তেমন নিমকাঠের তৈরী বিগ্রহ রয়েছে। মন্দির চত্বরকে কেন্দ্র করে পাঁচশোর বেশী গাছ লাগানো হয়েছে। এই মন্দির হাজার-হাজার বছর ধরে অপূর্ব সৃষ্টির মর্যাদা পাবে। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ ঢুকবেন। ধন্য়বাদ জানাই তারকা, শিল্পপতি, পুরোহিত সকলকে। তিন বছর ধরে এই কাজ হয়েছে। এই মন্দিরের কাজের সাথে যুক্ত সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সকলে উপস্থিত হয়েছেন। স্থানীয় মানুষজন সাহায্য না করলে এত বড়ো কাজ সমাপ্ত হতে না।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031