অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সোমবার রাজ্য প্রাইমারী বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও পর্ষদ সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী আদালতের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দপ্তরে গিয়ে জেরার মুখোমুখি হন। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা থাকেন। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই প্রাইমারী বোর্ডের অফিসে হানা দিল।
অভিযোগ উঠেছিল যে, রাজ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৩ লক্ষ ছিল। এর মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষায় পাশ না করলেও তাদেরকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের প্রশ্ন, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৯ জনকে নিয়োগ করা হলো কেন? তাছাড়া যেখানে ফেব্রুয়ারী মাসে বোর্ড জানিয়েছিল শূন্য পদ নেই, সেখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন পদ তৈরী হয় কিভাবে?
আজ সিবিআই আধিকারিকরা রাজ্য প্রাইমারী বোর্ডের অফিসে সার্ভার রুমে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বোর্ডের সার্ভারে প্রাথমিকে নিয়োগে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য মজুত রয়েছে।
প্রাইমারীতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপনে বিশ্বাস রঞ্জন নামে একজনের নাম করেছেন। ওই উপনে বিশ্বাস রঞ্জন ওরফে চন্দনের নামে সিবিআই এফআইআর করেছে। আর আগামীকাল হাইকোর্টে টেট প্রাইমারী তদন্তের রিপোর্ট দিতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনী ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “২৬৯ জনের চাকরী বেআইনী। এদের সকলের বেতন বন্ধ করতে হবে। সোমবার থেকেই ২৬৯ জন বিদ্যালয়ের কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমনকি বিদ্যালয়েও প্রবেশ করতে পারবেন না।”