নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ হুগলীর শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর এলাকায় সম্পত্তির লোভে দাদাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর অভিযোগ উঠলো খোদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ এই ঘটনায় নিহতের ভাই সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের নাম গৌতম দাস। বয়স ৫৮ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌতমরা পাঁচ ভাই-এক বোন। এর মধ্যে প্রায় দু’বছর আগে এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বাকি ভাইদের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল দাস বিবাহিত। উজ্জ্বলবাবু পরিবার নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন। বাকি তিন ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি একসাথে থাকেন। তিন অবিবাহিত ভাইয়ের মধ্যে পঙ্কজ মানসিক ভাবে অসুস্থ।
এদিন গৌতমবাবুর মৃতদেহ এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। এরপর এলাকার বাসিন্দারা পিয়ারপুর ফাঁড়ির পুলিশের কাছে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। গৌতমবাবুর মৃত্যু নিয়ে ছোটো ভাই উৎপল দাস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিবারের দিল্লি রোডের পাশে বিপুল টাকার জমি এবং সম্পত্তি রয়েছে। এর আগে দু’বার উজ্জ্বলবাবু ভাইদের না জানিয়ে জমি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। যা নিয়ে পরিবারে অশান্তিও লেগে ছিল।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, উজ্জ্বলবাবু সেই সম্পত্তি দখল করার লোভে দাদাকে খুনের ছক করেন। এদিকে মাঠপাড়ার বাসিন্দা বছর তিরিশের কৃষ্ণ অসামাজিক কাজের জন্য পুলিশের নজরে ছিল। আর গতকাল রাতেরবেলা কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে কৃষ্ণকে জেরা করে ওই রাতেই উজ্জ্বলবাবুকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। উজ্জ্বলবাবু জেরায় স্বীকার করেছেন যে, তিনি সম্পত্তির লোভে কৃষ্ণকে খুনের জন্য সুপারি দেন। পঁচিশ হাজার টাকায় রফা হয়। আর অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকাও দেন।
তারপর বুধবার রাতেরবেলা ১২ টা নাগাদ গৌতমবাবুকে গলা টিপে খুন করে পুকুরে ফেলে দেন। এই পরিকল্পনায় উজ্জ্বলবাবুর ভগ্নিপতি বিজয় মণ্ডলও জড়িত রয়েছে বলে জানতে পেরে পুলিশ। বিজয়ের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে।