বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার বিজেপির বুথ সভাপতির দেহ

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ আজ পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের সেলিয়া গ্রামে বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার অভিজিৎ রায় নামে এক জন ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। অভিজিৎ বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের পোলিং এজেন্টের পাশাপাশি বিজেপির ১৬৮ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল তাদের বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যার প্রতিবাদে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা থানা ঘেরাও করে।’’ এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেরবেলা থেকে অভিজিৎ নিখোঁজ ছিলেন। এদিন ভোরবেলা এলাকাবাসীরা বাড়ি লাগোয়া খামারবাড়ি থেকে অভিজিৎকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবী, ‘‘এমন কোনো কারণ নেই, যে জন্য অভিজিৎ নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অভিজিৎকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ মন্তেশ্বর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।



এদিকে আবার, বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা মন্তেশ্বর থানার সামনে হাজির হয়ে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচী শুরু করে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অন্য দিকে, এলাকায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় মৃতের বাবা বলে দাবী করা অরুণ রায় নামে এক জন ব্যক্তি জানান, ‘‘খুন নয়, স্ত্রীর সাথে গোলমালের জেরে নিজে থেকে আত্মহত্যা করেছে। মাঝেমাঝে বৌমার সাথে অশান্তি করত, মদ খেত, নেশা-ভাং করত। সংসার না চললেই বৌমার সাথে অশান্তি হত। এর আগেও এরকম দু’চার বার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল।’’


বিজেপি অবশ্য এখনো খুনের দাবীতেই অনড়। কিন্তু তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, ‘‘রাজনীতি নয়, অভিজিৎ এর মৃত্যুর নেপথ্যে পারিবারিক সমস্যা আছে। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক। প্রশাসন এখন কমিশনের আওতায় রয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার কোনো জায়গা নেই। আইন আইনের পথে চলুক।’’ ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আর ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানানো হয়েছে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031