উদ্ধার হলো বিজেপি কর্মীর নলি কাটা দেহ

Share

স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ দুই দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর এক ব্যক্তির নলি কাটা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নদীয়ার নবদ্বীপ ব্লকের ফকিরডাঙ্গা ঘোলাপাড়া পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মিলন ঘোষ (৪০)। তার বাড়ি নবদ্বীপ ব্লকের ফকির ডাঙ্গা ঘোলাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোষপাড়া এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে মিলনবাবু শান্তিপুরের শ্রীরামপুর গ্রামে ব্যবসা সংক্রান্ত তাগাদা করতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর তিনি আর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা নবদ্বীপ থানায় একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সোমবার সকালে শান্তিপুর থানার মানিকনগর গঙ্গার ঘাটের কাছে মিলন ঘোষের দেহ ভাসতে দেখা যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা এলাকার বাসিন্দাদের খবর দিলে পার্শ্ববর্তী ঘোষপাড়া গ্রামের পরিবার ও গ্রামবাসীরা সেখানে ছুটে গিয়ে দেখতে পান মিলনবাবুর টুটি কাটা অবস্থায় দেহটা গঙ্গায় ভাসছে। তারপর গ্রামবাসীরা মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসেন।


এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। নিখোঁজ মিলনবাবুর দেহ উদ্ধারের পর এলাকার ক্ষিপ্ত জনতার দাবী অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়া মিলনবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

https://www.youtube.com/watch?v=UgbtHbi0qzM


অপরদিকে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের তরফে উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তি বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী বলে দাবী তুলে ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে নৃশংস ভাবে তাদের এই কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাপস ঘোষ বলেছেন, “ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে মিলন ঘোষকে কেউ খুন করে থাকতে পারে।এছাড়া বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। আর মানুষ অনেক বেশী সচেতন। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার খুন হওয়া মিলনবাবুর দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন”।


এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবী “মিলনবাবু মুসলিমদের হাতে খুন হয়েছে। এখানে বিজেপি আশ্রিত চলবে না। প্রকৃত সত্য চাপা দেওয়ার জন্য মৃতদেহকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে লাভটাকে সরিয়ে দিয়েছে ওখানকার তৃণমূল নেতৃত্ব বলে। তার আরো অভিযোগ যে, তিনি ওই গ্রামে যাওয়ার পরও গ্রামবাসীরা তাকে জানিয়েছেন মিলনবাবু একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিল এবং তাকে যারা খুন করেছে তারা তৃণমূলের দুষ্কৃতী”।

আর এটা একদিকে পরিকল্পিত খুন। অন্যদিকে ওই গ্রামে পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ ওখানকার ভোটার নয় নাগরিক নয়। তাই তারা রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী কিনা তা তদন্তের জন্য তিনি নদীয়া জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031