নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনির ছাতাডাঙালে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মী ও তার মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার বারাবনি মণ্ডল সভাপতি বাপি প্রধান পরিচিত এক জনের সঙ্গে বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় তৃণমূল নেতা আকবর আলমের নেতৃত্বে প্রায় কুড়ি জনের একটি দল সেখানে এসে বাপিকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির বাইরে বের করার চেষ্টা করে।
এরপর তার চিৎকার শুনে বাপির মা ষাটোর্ধ্ব মিনা প্রধান ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাধা দিতে গেলে দু’জনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। বারাবনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পর বারাবনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে অভিযুক্ত আকবর জানিয়েছে, “সকালবেলা পানুড়িয়া বাজারে থাকাকালীন বাপি আমাকে গালিগালাজ করেন। তারপর এরকম ব্যবহারের কারণ জানতে কয়েকজনকে নিয়ে বাপির বাড়িতে যেতেই তারা তাদের উপরে চড়াও হলে আকবররাও আত্মরক্ষার জন্য হাত তোলে”।
তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেছেন, “এক বিজেপি কর্মীর উপরে হামলার খবর পেয়েছি। কিন্তু এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। এটা কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলা। পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি”।
অন্যদিকে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ জানিয়েছে যে, “বিধানসভা ভোটের সময় থেকে শাসক দল বারাবনিতে দলের নেতা-কর্মীদের মারধর করছে। মঙ্গলবারও একই ঘটনা ঘটেছে”। ইতিমধ্যে পুলিশ পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।