জয় শ্রীরাম বলায় বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে

Share

স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ এবার জয় শ্রীরাম বলার জন্য বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করেন। এটি নদীয়ার কৃষ্ণনগরের ঘটনা।

জানা গেছে, গতকাল কৃষ্ণনগরের বাগানপাড়ায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু বিজেপি কর্মী দোলের উৎসবে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে নাচ-গান করছিলো। আর ঠিক সেই সময় বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কালু শেখ, রানা শেখ, সূরোজ শেখ সহ প্রায় ১১ জন দুষ্কৃতী দা ও শাবল লোহার রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কার্তিক মাঝি, রতন মাঝি, সুদন মাঝি এবং সঞ্জয় মাঝি ঘটনাস্থলেই গুরুতর চোট পান। এদের প্রত্যেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

https://www.youtube.com/watch?v=0gL0h2iVnEY


প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরেই বাগান পাড়ার বিজেপি কর্মীদের বিজেপি করার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আর তাদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল করার জন্য বলা হচ্ছিল। অভিযোগ, যখন তারা দোলের উৎসবে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে ঠাকুরের সামনে নাচ করছিলেন তখন সেই শ্লোগান শুনে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। আক্রমণের ফলে ৪ জন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় বিজেপি রানা শেখ, সূরোজ শেখ সহ মোট ১১ জন দুষ্কৃতীর নামে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

আজ এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি পথ অবরোধ করে। কৃষ্ণনগর উত্তরের যুব মোর্চার সভাপতি সৈকত দাস বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কি জয় শ্রীরাম বলা যাবে না? আমরা পাকিস্তানে বাস করছি না বাংলাদেশে বাস করছি যে জয় শ্রীরাম বলা যাবে না? তাহলে কি এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে হবে? আজকে যেসব দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে চমকাচ্ছেন ও ধমকাচ্ছেন তাদের যেন ২ রা মের পর বাংলাদেশে না পালাতে হয়। দুষ্কৃতীদের জাত-ধর্ম হয় না। কোন পার্টি পিছনে থাকবে, না থাকবে সেটা বড়ো কথা নয়। একটা কথা পরিষ্কার যে দোলের দিন রং খেলবে। আর সারা পশ্চিমবঙ্গ গেরুয়া আবীর খেলবে, জয় শ্রীরাম বলবে। কৃষ্ণনগর মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের পূণ্যভূমি। বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে পাতাল থেকে খুঁজে নিয়ে মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকদের ভুরি ভুরি কেস থাকা সত্ত্বেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম চলতে দেওয়া যায় না। এটা মমতাজ বেগমের রাজত্ব চলছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামীদের লক আপ করতে হবে। যতক্ষণ না পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করবে ততক্ষণ অবরোধ চলবে। কৃষ্ণনগরের সাধারণ মানুষ তাই আজ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে এসেছে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হতে আমাদের সঙ্গে”।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031