রণক্ষেত্র রূপ ধারণ করলো অসম-মিজোরাম সীমান্ত

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অসমঃ দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এপ্রিল-মে মাসে অসমে নির্বাচনের পরে এই প্রথমবার বিতর্ক মেটানোর জন্য গত সপ্তাহের শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এ গিয়েছিলেন। কিন্তু ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অসম-মিজোরাম সীমান্ত। সেখানে গুলিবিনিময় ও সরকারী গাড়িতে আগুন লাগানোরও ঘটনাও ঘটেছে। লায়লাপুর সীমানার কাছে মিজোরামের দিক থেকে অসমের সরকারী আধিকারিদের উপর ইট-পাথর ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, মিজোরামের দিক থেকে ইট-পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। এই ঘটনায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা সীমান্ত এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছেন। আর সেই পুলিশের সঙ্গেই মিজোরামের জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে।


অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা এই অশান্তির জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। জোরামথাঙ্গা অশান্তির ছবি টুইট করে বলেন, “নিরীহ মানুষজন কাছাড় হয়ে মিজোরামে ফেরার পথে গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই হিংসাকে কীভাবে ন্যায়সঙ্গত বলা যায়? অবিলম্বে অমিত শাহ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুন। এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত”। 


হিমন্ত বিশ্বশর্মা টুইট করে বলেছেন, “জোরামথাঙ্গাজি মিজোরামের কোলাসিবের পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, “আমরা যেন নিজেদের পোস্ট থেকে সরে যাই। না হলে হিংসা থামবে না। অসম পুলিশের তরফে মিজোরামের আমজনতাকে সীমান্ত ছেড়ে চলে যেতে বলা হলেও তারা কিছুতেই যাচ্ছে না। এইভাবে রাজ্য চালানো যাবে না”।


প্রসঙ্গত, অমিত শাহ অসম, ত্রিপুরা, সিকিম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলপ্রদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। একইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনাও করেন। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ইসরোর চেয়ারম্যান কি শিবন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন সংক্রান্ত দফতরের মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ছিলেন। এছাড়াও ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিলং এর অদূরে মাওইয়ং এ আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করেন।

DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031