অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা চলছিল। এবার সেই জাল ভিসা এবং পাসপোর্ট চক্রের প্রধান পান্ডাকে গ্রেপ্তার করা হলো। জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বানিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাত্ করেছিলেন বলে অভিযোগও ওঠে। ধৃতের নাম নন্দকিশোর প্রসাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওমপ্রকাশ নামের এক যুবক বিদেশে চাকরীর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ভিসা পাচ্ছিলেন না। সেই সময় ওমপ্রকাশের সঞ্জীব অরোরা নামের এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। তখন সঞ্জীব তাকে ভিসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে টাকা দিয়ে দেওয়ার পরেও ভিসা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
অনেক বলার পরে সে ওমপ্রকাশকে ভিসার একটি স্ক্যান কপি দেন। এরপর দূতাবাসে গিয়ে জানতে পারেন সেটি জাল। তারপরেই সঞ্জীবের নামে দিল্লিতে চাণক্যপুরী থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর দিল্লি পুলিশের একটি দল এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে মোবাইলের শেষ অবস্থান ধরে উত্তর চব্বিশ পরগনায় এসে সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে নন্দকিশোরের নাম জানতে পারার পরেই গতকাল দিল্লি পুলিশ এবং হরিদেবপুর পুলিশের দল মহাত্মা গাঁধী রোডের একটি ফ্ল্যাটে যৌথ অভিযান চালিয়ে নন্দকিশোরকে গ্রেফতার করে।
নন্দকিশোরের কাছ থেকে ৮৬ টি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে বিদেশি পাসপোর্টও রয়েছে। এছাড়া প্রিন্টার, ল্যাপটপ সহ টাকা গোনার যন্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পাসপোর্ট ও ভিসা বানিয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে নিতেন।
দিল্লি পুলিশ নন্দকিশোরকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চাইছে। পুলিশের অনুমান যে, এই চক্রের জাল গোটা দেশ জুড়েই ছড়িয়ে আছে। এর পিছনে অনেক বড়ো বড়ো চক্রও রয়েছে।