অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ নতুন বছর এসে গেলেও এখনো ২০২৩ সালের টেটের (টিচার এলিজেবিলিটি টেস্ট) ফল প্রকাশ করা গেল না। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, “২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার আইনী জটিলতা না মেটা অবধি ২০২৩ সালের ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।”
গৌতম পাল বলেন, “বেশ কিছু বিষয়ে আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিছু পরীক্ষার্থী আদালতে প্রশ্ন নিয়ে চ্যালেঞ্জও করেছিলেন। এগুলি বেশীরভাগই ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার। পূর্বের ওই আইনী জটিলতা না মিটিয়ে ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে না।” উল্লেখ্য, প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, “২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় তেইশটি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। আর ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় চব্বিশটি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই কমিটি বিশদে রিপোর্ট প্রকাশ করবে। আর ওই আইনী জটিলতা মিটিয়ে তবেই ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালের টেটের প্রশ্ন নিয়েও মামলা হয়েছে। এই নিয়েও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইনী পরামর্শ গ্রহণ করছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। ২০২৩ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট পরীক্ষা নেয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু গত বছরের তুলনায় কমে ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন পরীক্ষায় দেন। ৭ ই মে পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশিত হয়। কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর কোনটি, তা জানানো হয়। তবে কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে কোনো পরীক্ষার্থীর দ্বিমত থাকে, সেক্ষেত্রে ১০ ই মে থেকে ৯ ই জুন মধ্যরাত পর্যন্ত প্রশ্ন চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই পরীক্ষার্থীরা ফলপ্রকাশ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন। যদিও পরীক্ষার পর বছর ঘুরতে চললেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এখনো অবধি ফলপ্রকাশ করতে পারেনি। এরই মাঝে আবার নানা আইনী জটিলতা ও নিয়োগে দেরীর কারণে ২০২৪ সালের টেট পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here