মহম্মদ মোখতারঃ বাংলাদেশঃ এবার গভীর রাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়ার ২৬ নম্বর শরণার্থী শিবিরের মোচনী ক্যাম্পের ই-ব্লকে বিধ্বংসী আগুন লেগে কয়েকশোরও বেশী ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভয়ংকর আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন আয়ত্তে আনতে তৎপর হয়।
টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মুকুল নাথ জানান, “আগুনের তীব্রতা বেশ ভয়াবহ ছিল। তবে বড়োসড়ো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগেই ভোরবেলার মধ্যেই এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে”।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে। যখন একটা ঘরে আগুন লেগেছে তখন তা দেখামাত্রই অন্যরা বাকিরা নিরাপদভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছে। ফলে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
কিন্তু ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তা মি. নাথ জানিয়েছেন যে, “এরা সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী ছিল। এসব ঘরে ১০০০ এরও বেশি মানুষ বসবাস করত। আর এই ঘরগুলো টিন, বাঁশের বেড়া এবং প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা ছিল। যার জেরে শরণার্থীদের শিবিরের ঘরগুলো খুব কাছাকাছি হওয়ায় অতি সহজেই একটি ঘর থেকে আরেকটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল”।
তাদের ধারণা যে গভীর রাতে কখনোই গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালানোর প্রয়োজন হয় না তাই কোনোভাবে কয়েল বা সিগারেটের আগূন থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশ গোটা বিষয়টির পুরোপুরি তদন্ত করে দেখছে। যার ফলে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা যাবে। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন ওই শরণার্থীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই এলাকা জুড়ে।