নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ নকল রুখতে যাওয়ায় মালদার বৈষ্ণবনগরে চামাগ্রাম হাইস্কুলে পরীক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। পরীক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মারে বিশেষ ভাবে সক্ষম এক জন শিক্ষিকার হাত ভাঙলো। এই ঘটনায় ন’জন পড়ুয়াকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ শনাক্ত করেছে। জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে সংসদ তদন্ত করছে। ন’জনের তথ্য যাচাই করে হেয়ারিং করা হবে। তার ভিত্তিতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষাও বাতিল হতে পারে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা ঘটনায় বারো জন যুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই সংসদ ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেখান থেকে সাত জনের রোল নম্বর আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে শনাক্ত করায় তাদের রোল নম্বর এবং বাকি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য নিজেই এই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন। অভিযুক্ত ছাত্রদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে হেয়ারিং হবে। সেখানে প্রধান শিক্ষক ও ওই ছাত্রদের উপস্থিত থাকতে হবে। আর ছাত্রদের প্রমাণ করতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না কেন? হেয়ারিংয়ের ওপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, তাদের পরীক্ষা বাতিল হবে কিনা!
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে এই ঘটনায় জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক জানান, “যারা হামলা চালিয়েছে, তারা বেসরকারী বিদ্যালয়ের ছাত্র। নির্দিষ্ট সরকারী বিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করে পরীক্ষা দিতে যায়। বিভিন্ন বেসরকারী বিদ্যালয়গুলোর সাথে স্থানীয় কিছু সরকারী বিদ্যালয়ের গোপন যোগসাজশ আছে। বেসরকারী বিদ্যালয় মোটা টাকা খরচ করে। ছাত্ররা নিয়মিত নকলের জন্য মোবাইল নিয়ে যায়। আর তাতে বাধা দেওয়াতেই এই শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here