মিছিল বা পার্টি অফিসে না যাওয়ায় এলাকা থেকে উঠে গেল জলের কল

Share

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ কসবায় ভোট না দেওয়ায় জলের কল তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার বিরুদ্ধে। মূলত, এলাকায় চারটে কল ছিল। বর্তমানে চারটে কল সরিয়ে খালের ধারে বসানো হয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, “কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ভোট না দিলে জল পাওয়া যাবে না বলে বলেছেন।” এলাকার চল্লিশটি পরিবার বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের কাছে নালিশ জানিয়েছেন।

অন্য এক জন বাসিন্দার কথায়, “লিপিকা মান্না জানান, ‘এখানে আর কল দেওয়া যাবে না। কারণ এখানে বিদ্যালয় আছে। তারা আপত্তি জানাচ্ছে।’ কিন্তু ওপার থেকে জল আনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এও বলেন, ‘রোজ পার্টি অফিসে আসতে হবে। তবে আমরা কোনো পার্টির মধ্যে নেই।’ আমার আত্মীয়রা কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলেন। খুব খারাপ ব্যবহার করেছেন। কুুকুরের মতো ব্যবহার করেছেন।” আরেক বয়স্ক মহিলা জানালেন, “লিপিকা মান্না আমাকে বলছে, তোমরা মিছিলে যাও না। আমার বয়স হয়েছে, আমি কি মিছিলে যেতে পারি?”


চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এক মাস আগে আমার কাছে পিটিশন এসেছিল। দীর্ঘ বারো-তেরো বছর ধরে ওখানকার বাসিন্দাদের জলের সমস্যা ছিল। নারকেলবাগানের ওখানে তাদের নাকি জলের চারটে লাইন কেটে দিয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বরো এক্সিকিউটিভকে ডেকেছিলাম। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলেছিল, ‘কাটা হয়নি, সাময়িকভাবে একটা সমস্যা হচ্ছিল, কোথায় জল কম যাচ্ছে, সেটা দেখার জন্য লাইন কাটা হয়েছে।’ তাও একটা লাইন করে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম।


আর ভোট না দেওয়াটা সার্ভিস না দেওয়ার কোনো কারণ হতে পারে না। কলকাতার এমন অনেক জায়গাই আছে, যেখানকার মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেয় না।” এদিকে, অভিযুক্ত কাউন্সিলর লিপিকা মান্না বললেন, “চারটে জায়গায় বারোটা, চব্বিশটা কল দেওয়ার পরও আমি এলাকাবাসীকে এই ধরণের কথা বলতে পারি কিভাবে। যদি বলতামই, তাহলে আবার ২৪ টা কলই বা দেব কেন? এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক কথা। এই রকম কোনো সিচুয়েশন তৈরী হয়নি। আমি এলাকায় ঘুরেছি, ওদের সমস্যার দেখেছি, যখন একটা জলের পাইপ লাইন বসিয়েছি, সার্বিকভাবে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”


অন্যদিকে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানিয়েছেন, “প্রথম হচ্ছে, যে আমায় ভোট দেয় না, তারও আমি কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন ধরে সুশান্ত তো রাজনীতিটা করে, ও জানে, এই লোকগুলো ভোট সামনের বার ভোট নাও দিতে পারে। আবার যে এবার ভোট দেয়নি, আগামী দিনে সেও ভোট দিতে পারে।”

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930