একরাশ ক্ষোভ নিয়ে দল ছাড়লেন তাপস রায়

Share

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ তাপস রায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন। এদিন প্রায় এক ঘণ্টা ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ তাপস রায়ের বাড়িতে বৈঠক করেন। এছাড়া তাপস রায়কে বোঝাতে বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। কিন্তু তাপস রায় নিজের অবস্থানেই রয়েছে।

তাপস রায় অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে জানান, ‘‘১২ ই জানুয়ারী আমার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িতে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) অভিযান চালায়। ৫২ দিন হয়ে গেল। তবে দল আমার পাশে নেই। আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। ৫২ দিন আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী-কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম ক্রিয়েটেড ইডি রেডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। বিধানসভায় আমার বাড়িতে ইডি অভিযানের কথা বলতে পারতেন। তবে বলেননি।


কিন্তু উনি শাহজাহান শেখের কথা বললেন। তার পাশে দাঁড়ালেন। আমি আহত হলাম। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ আছে। অবাক হয়ে গেলাম আজ কুণাল ঘোষ শোকজ। আর ও আমাকে আজ বোঝাতে এসেছিল। যাদের শোকজ বা সাসপেন্ড হওয়ার কথা তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” পাশাপাশি এও অভিযোগ করেন যে, ‘‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে ইডিকে ঢুকিয়েছিলেন।’’  যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, তাপস রায় বাধ্যবাধকতার কারণেই দলের পদ এবং বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। আর ইডি হলো সেই বাধ্যবাধকতা। তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি নির্ঘাত কিছু তথ্যপ্রমাণ পেয়েছিল। তাই বিজেপিতে যেতে হচ্ছে।’’


আর তাপস রায় যে দাবী করেছেন, ইডি হানার পর তাঁর পাশে দলীয় নেতৃত্ব দাঁড়াননি, তাঁর সাথে কোনো কথাও বলেননি, সেই দাবী সম্পূর্ণ অসত্য। কারণ ইডি তাপস রায়ের ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছিল। দু’দিন পর তাপস রায়ের নম্বর সক্রিয় হয়। সেই সময় দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সাথে একাধিক বার কথা বলেছিলেন। তাপস রায় দলের মুখপাত্র ছিলেন। তবে এদিন যা যা দাবী করেছেন, তা হাস্যকর। অন্যদিকে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরের তমলুকে সরকারী ভাষণে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি সিবিআই(সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-ইডির ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে ভাঙতে চাইছে!’’


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930