ওষুধের ১০টি প্রোডাক্টে নিষেধাজ্ঞা দিল স্বাস্থ্য ভবন

Share

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ কালো তালিকায় থাকা স্যালাইন দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও হাসপাতালে হাসপাতালে দেখা যায়, সেই একই ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজে দেখা যায় সেই ছবি। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য ভবন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। প্রথমে মৌখিকভাবে নিষেধ করার পর এবার ওষুধ ও স্যালাইন নিষিদ্ধ করে লিখিত নির্দেশিকা জারি করা হল।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। রিপোর্টে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, স্যালাইনে সমস্যা থাকাতেই এই মৃত্যু। ওই একই স্যালাইন নিয়ে ওই মেডিক্যাল কলেজেই আরও চার প্রসূতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পর স্বাস্থ্য ভবন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে নিষেধ করে। শনিবার সকালে দেখা যায়, সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই রমরমিয়ে চলছে স্যালাইন। এরপরই দেওয়া হল লিখিত নির্দেশিকা। ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’, যে সংস্থার স্যালাইনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তাদের সংস্থার মোট ১০টি প্রোডাক্টে নিষেধাজ্ঞা দিল স্বাস্থ্য ভবন।


এগুলি হলো অফলক্সাসিন, ১/২ ডিএনএস, রিঙ্গার ল্যাকটেট, ম্যানিটোল ইনফিউশন, ডেক্সটরোজ ইঞ্জেকশন, প্যারাসিটামল ইনফিউশন, রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইঞ্জেকশন, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন সহ পেডিয়াট্রিক মেনটেনেন্স ইলেকট্রোলাইট সলিউশন। আপাতত সব হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে সেই নির্দেশিকা। তা মেনে ওয়ার্ডগুলি থেকে সরানো হচ্ছে ওষুধ, স্যালাইন। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর ওষুধগুলি এক জায়গায় জড়ো করে সরানোর কাজ হচ্ছে। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরের আগে গত বছর কর্ণাটকেও এই সংস্থার স্যালাইন নিয়েই চার জনের মৃত্যু হয়।



Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031