নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বেলুড়ঃ আজ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। তিনি এই রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের সহ অধ্যক্ষ ছিলেন। আজ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজের নাম অধ্যক্ষ হিসাবে ঘোষণা করেন।
স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের মৃত্যুর পর স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত শতাব্দীপ্রাচীন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কখনো অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকে না। গত ৭ ই এপ্রিল প্রয়াত ষোড়শ অধ্যক্ষের ভান্ডারা অনুষ্ঠানের মাস খানেকের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরবর্তী অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হলো। আর অছিপরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ সহ অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। তাই তাঁকেই এবার অধ্যক্ষ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গত ২৭ শে মার্চ ষোড়শ অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টির দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ বলেছিলেন যে, ‘‘স্বামী স্মরণানন্দজীর পর নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে মোটামুটি এক মাস লাগবে। আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক সংঘ। অছি পরিষদ এবং পরিচালন সমিতি পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা ঠিক করবেন। আর যে সন্ন্যাসীরা দীর্ঘ কুড়ি-ত্রিশ বছর ধরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কার্যভার সামলাচ্ছেন তাঁরা ওই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, ১৯৫১ সালে স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ রামকৃষ্ণ মিশনে যোগ দেন। আর স্বামী রঙ্গনাথানন্দজীর কাছ থেকে আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬৬ সালে রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশরানন্দজীর কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন। এরপর দীর্ঘদিন অরুণাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন। এছাড়া সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারী এডুকেশন এবং নতুন দিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের মতো দু’টি গুরুত্ত্বপূর্ণ বোর্ডে সাধারণ ও এগ্জিকিউটিভ সদস্য হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here