নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসামঃ গত জুন মাসে আসামের দারাং জেলায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুনের জেরে অভিযুক্তের আত্মীয়ের থেকে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সাসপেন্ডেড পুলিশ সুপার রাজমোহন রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্তের পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি খতিয়ে দেখার পরই ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। ওই পুলিশ সুপার মামলা লঘু করার জন্য অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে ধুলা থানার তৎকালীন ওসির মাধ্যমে ঘুষ নিয়েছিলেন।
গত ১২ ই আগস্ট আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দায়ের নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেছিল। গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিট জমা দেওয়ার পর সিআইডি এই ঘটনায় সরকারী আধিকারিক ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্তে নামে। পাশাপাশি যে চিকিৎসকরা ওই কিশোরীর ময়নাতদন্ত করেছিলেন সেই চিকিৎসকদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হয়।
এই মামলায় গত ৩১ শে অক্টোবর সিআইডি উৎপল বোরা নামে ওই ওসি গ্রেফতার হয়েছে। আর গত ৭ ই নভেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপম ফুকন এবং আরো তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।