নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন। তখন সুকান্ত মজুমদারের গাড়িতে একটি ছাগল পিষে মারা যায়। যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রচারের শেষ দিনে সুকান্ত মজুমদারের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কাবিলপুর ও বালিয়া এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাও ওই পথে বিজেপি নেতাকে কালো পতাকা এবং গো ব্যাক শ্লোগান দেওয়ার জন্য তৈরী ছিলেন। এদিকে সুকান্ত মজুমদারের গন্তব্যের পথেই তাঁতিবিড়াল গ্রাম।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, ওই গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাংসদের কনভয় একটি ছাগলকে পিষে দেয়। আর তাতেই গোটা গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সামনেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা সুকান্ত মজুমদারের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। জরিমানার দাবী করেন। অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় পাঁচ হাজার টাকায় বিষয়টির মিটমাট হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সুকান্ত মজুমদারের দাবী, ‘‘একটি মরা ছাগলকে কনভয়ের সামনে ফেলে রেখে জোর করে টাকা আদায় করা হয়েছে। এটা নিম্নরুচির রাজনীতি। এসব নিয়ে মন্তব্য করতেও ঘেন্না লাগছে। যারা গো ব্যাক শ্লোগান দিচ্ছেন, তাদের আত্মীয়-পরিজনই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছেন। কোথা থেকে সাজিয়ে কি সব করছে এঁরা!’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিজেপির বক্তব্য, ‘‘জরিমানা কিছু নয়, চিত্রনাট্য তৈরী করে জোর করে টাকা আদায় করা হয়েছে। পুলিশের উস্কানিতে তৃণমূলের সমর্থকরা যেটা করেছে তা রাজ্য প্রশাসনের লজ্জা। সুকান্তদার কনভয়ে পরিকল্পিত ভাবে একটা মরা ছাগল ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। আমরা কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাইনি। তাই টাকা দিয়ে বেরিয়ে এসেছি।’’
জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আর পাইলট কার আছে বলেই ইচ্ছে মতো গতিতে গাড়ি ছোটানো যায় না। ঠিক কি হয়েছে, আমি আরো খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’’